যদিও চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হচ্ছে, মস্তিষ্ক হৃদয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর সূক্ষ্ম দিক এখনো পরিষ্কার নয়। তাই হৃদয় ও মস্তিষ্ককে দুটি আলাদাভাবে দেখার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকরা বলছেন, একটি গভীর সম্পর্ক হঠাৎই ভেঙে গেলে তা আপনার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন, গভীর সম্পর্কের হঠাৎই ইতি ঘটলে তা আপনার ব্রেন সহজে মেনে নিতে পারে না। যার ফলে আপনার হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। বিজ্ঞানীরা একে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম বলছেন।
কাউকে হারানোর ভয়, কোনো দুশ্চিন্তা মনের গভীরে বাসা বাঁধা, অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক আঘাত এই সিনড্রোমের অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে হৃৎপিণ্ডে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেই সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনও।
এতে হরমোনাল গ্ল্যান্ডসে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ব্লাড প্রেশারও বেড়ে গিয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই সম্পর্কের কারণে ভাঙা হৃদয় স্ট্রোকের পাঁচ গুণ বেশি এবং মৃত্যুর দ্বিগুণ সুযোগ তৈরি করতে পারে। কিন্তু হতাশার বিষয় এই যে, মানসিক এই সমস্যাগুলো শরীরে ভেতরের প্রক্রিয়াকে ধীরগতিতে বাধাগ্রস্ত করে। আর তাই এ রোগের কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায় না।
এ অবস্থায় দুশ্চিন্তা ও হতাশা তীব্র হলে আর্টারি বা ধমনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর যদি ধমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে ১-৩ বছরের মধ্যে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ বেড়ে যাবে, যা কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা যাবে না। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ–এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উৎকৃষ্ট উপায় হলো নিজের আবেগ যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করা।
সূত্র: আজ তাক বাংলা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।